প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার যুবক ইশান মাহমুদ শ্রাবণ (২১)। তবে সেই বিয়ে একমাসও স্থায়ী হয়নি। ১০ দিনের মাথায় ডিভোর্স দিয়েছেন স্ত্রী। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এক মণ দুধ দিয়ে গোসল করে প্রেমে জড়ানো এবং বিয়ে না করার শপথ নিয়েছেন ওই যুবক।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের পরগলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ইশানের পরিবার ও বন্ধুরা জানান, সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিনের মির্জাপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ইশান ছোটবেলা থেকে নানাবাড়ি মেলান্দহের পরগলি গ্রামে থেকে লেখাপড়া করতেন। এসএসসি পাস করে নিজ বাড়ি সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে ফিরে আসেন তিনি। সেখানে নান্দিনা শেখ আনোয়ার হোসেন কলেজে ভর্তি হন। এই সময় স্থানীয় এক তরুণীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
প্রায় তিন বছর প্রেমের পর গত ২৯ অক্টোবর জামালপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মেয়ের পরিবার ইশানের বাড়ি আসে। কিন্তু তাদের আর্থিক অবস্থা দূর্বল হওয়ায় বিয়ে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এক পর্যায়ে গত ৮ নভেম্বর ইশানকে ডিভোর্স দেয় তার স্ত্রী। ইশান এ ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এর জেরে তাকে আবারও নানার বাড়ি পরগলি গ্রামে পাঠিয়ে দেয় পরিবার।
প্রেম এবং বিয়েতে ব্যর্থ ইশান জীবনে আর বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে নানা বাড়িতে এক মন দুধ দিয়ে গোসল করে প্রেমে না জড়ানো এবং বিয়ে না করার শপথ নেন।
ইশান মাহমুদ বলেন, আমাদের বিয়ের মাত্র ১১ দিন পর আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। এই স্মৃতি নিয়ে সারাজীবন কাটিয়ে দিতে চাই। নিজের ভুল শুধরে নিয়েছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি জীবনে আর প্রেম এবং বিয়ে করবো না।
তিনি আরও বলেন, মানুষ প্রাক্তনকে ক্ষমা করে না, কিন্তু আমি তাকে মাফ করে দিয়েছি।
কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ফেসবুকে এ-সংক্রান্ত ভিডিওটি দেখেছেন।
সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলম আলী জানান, ‘আমি এলাকার বাইরে আছি। ঘটনা নিজ চোখে দেখিনি। তবে লোকমুখে এবং ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি।’
এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।